অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ। রাইলি রুসোর ‘টর্নেডো’ সেঞ্চুরি এবং কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত অর্ধশতকের ওপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২০৬ রান।

ইনিংসের শুরুতে আশা জাগিয়েও খেল হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তারপরই বিপদ সামলে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুসো জুটির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনে আর দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা।

অনেক চেষ্টা করেও এই জুটির ভাঙন আনতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। রুসো-ডি ককের ১৬৮ রানের পার্টনারশিপে ফাটল আনেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কাউকে দিয়েই যখন কাজ হচ্ছিলো না, তখন আফিফের ওপর ভরসা করে বল তুলে দেন সাকিব। অধিনায়কের ভরসার প্রতিদানও দেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। ডি ককের উইকেট ছিনিয়ে কিছুটা স্বস্তি উপহার দেন দলকে। ৩৮ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ডি কক। ডি ককের পর শেষ পাঁচ ওভারে আরও ৩ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ডি কক, ট্রিস্টান স্টাবস যাওয়া আসার মধ্যে থাকলেও মাঠের অপরপ্রান্ত সামলে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন রুসো। ১৭তম ওভারে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এরপর ১৯তম ওভারে সাকিবের জালে ধরা পড়েন তিনি। রুসোর পর শেষ ওভারে উইকেট বিলিয়ে আসেন এইডেন মার্করামও। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের বিনিময়ে স্কোর কার্ডে ২০৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশ একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটকিপার), সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ:
কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাইলি রুসো, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্টাবস, ওয়েন পার্নেল, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনর্খি নর্কিয়ে, তাবরাইজ শামসি।
খেলাধুলাক্রিকেটটি২০ বিশ্বকাপ